চাঁদের দক্ষিণাংশের রহস্য উন্মোচনে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে শুক্রবার রাতে গভীর চন্দ্রপৃষ্ঠে নামতে চলেছে ভারতীয় চন্দ্রযান-২। তার ঠিক প্রাক্কালে চাঁদের মাটির অদ্ভুত ‘জেলি জাতীয় বস্তু’ খুঁজে পাওয়াকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বাধতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত রাশিয়া, আমেরিকা এবং চীনের বিভিন্ন মহাকাশযান ও নভোশ্চররা মূলত চাঁদের উত্তরাংশের মাটিতেই নেমেছে। সেই নিরিখে চাঁদের অনেকটাই দূর অংশে গত ডিসেম্বরে পৌঁছয় চীনের চন্দ্রযান চ্যাং-৪’এর ল্যান্ডার। যাতে থাকা য়ুটু-২ নামক রোভারটি গত জুলাই মাসের শেষের দিকে চাঁদের দূরের অংশেই জেলি জাতীয় ওই অদ্ভুত বস্তুকে খুঁজে পেয়েছে। যদিও সেটি কী তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেননি চীনের বিজ্ঞানীরা। তবে সেটি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে রোভারের অন্যান্য কাজকে ‘স্থগিত’ করা হয়েছে।
গত আগস্ট মাসে চীনের বেজিং অ্যারোস্পেশ কন্ট্রোল সেন্টার কর্তৃক প্রকাশিত ‘আওয়ার স্পেশ’ নামক প্রকাশনায় এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তাতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৫ জুলাই অষ্টম চন্দ্র দিবস যাত্রা শুরু করে য়ুটু-২। সেই যাত্রা পথে য়ুটু-২ চাঁদের মাটিতে থাকা ছোট ছোট কয়েকটি গহ্বরের উপর দিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছিল। সেই সময়েই একটা অদ্ভুত রঙের ওই জেলি জাতীয় বস্তুটিকে খুঁজে পায় রোভারটি। চীনের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জুলাই মাসের শেষের দিকে অষ্টম চন্দ্রদিবস অভিযান করার সময় আচমকাই চাঁদের উচ্চ তাপ এবং সূর্যের রেডিয়েশনের জন্য য়ুটু-২’কে কিছুদিনের জন্য বিশ্রামে পাঠানো হয়। সেই সময় য়ুটু-২’এর তোলা বিভিন্ন ছবিকে বিশ্লেষণ করা শুরু করেন চীনের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, য়ুটু-২’তে থাকা বিশেষ ক্যামেরা এবং নিয়ার ইনফ্রারেড স্পেক্টোমিটার দিয়ে ওই বস্তুটি কী তা অনুসন্ধানের চেষ্টাও চলছে।
উল্লেখ্য, এর আগে আমেরিকার অ্যাপেলো-১৭ অভিযানের সময় চাঁদের যে অংশে সেটি অবতরণ করেছিল, সেখানকার কমলা রঙের মাটিকে ঘিরে রহস্য দানা বেধেছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত গবেষণায় জানা গিয়েছিল, বহু যুগ আগে চাঁদের ওই অংশে একটা আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ হয়েছিল। তা থেকে নির্গত লাভার কারণেই মাটির ওই অংশের রঙ ওইরকম হয়েছিল। এক্ষেত্রে জেলি জাতীয় বস্তুটা কী? সেবিষয়ে বিজ্ঞানীদের একাংশের অনুমান, বহুবছর আগে মহাকাশ থেকে কোনও বস্তু চাঁদের ওই অংশে প্রবল আঘাত করে পড়েছিল। সেই থেকেই ওই বস্তুর সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। তবে এবিষয়ে আরও গবেষণার পরই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাবে বলে চীনের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।
---------------------------------------------
চন্দ্রায়ণ 2 একটি ভারতীয় চন্দ্র মিশন যা নির্ভীকভাবে সেখানে যাবে যেখানে কোনও দেশ এর আগে কখনও যায় নি - চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চল। এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে, লক্ষ্যটি হ'ল চাঁদ সম্পর্কে আমাদের বোঝার উন্নতি করা - এমন আবিষ্কারগুলি যা সমগ্র ভারত এবং মানবতাকে উপকৃত করবে। এই অন্তর্দৃষ্টি এবং অভিজ্ঞতার লক্ষ্য, চন্দ্র অভিযানগুলি কীভাবে আগত বছরগুলিতে আগমন করা যায় তার এক দৃষ্টান্তে স্থানান্তর - যা আরও দূরের সীমান্তগুলিতে আরও ভ্রমণকে এগিয়ে নেওয়া।
ভারতের জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ যানবাহন, জিএসএলভি এমকেআইআইআই-এম 1 যথাক্রমে দুপুর ২:৪৩ এ চন্দ্রায়ণ -২ মহাকাশযানটি চালু করেছে launched আইএসটি জুলাই 22,2019-এ 169.7 কিমি দৈর্ঘ্যের পেরিজি (পৃথিবীর নিকটতম পয়েন্ট) এবং 45475 কিলোমিটারের অ্যাপোজি (পৃথিবীর সবচেয়ে দূরের পয়েন্ট) দিয়ে তার পরিকল্পিত কক্ষপথে প্রবেশ করেছে। লঞ্চটি শ্রীহারিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার শরে দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে হয়েছিল।
চন্দ্রায়ণ -২ মহাকাশযানের ইঞ্জেকশনের পরে, তার কক্ষপথ বাড়াতে এবং এটি চান্দ্র স্থানান্তর ট্র্যাজেক্টোরিতে রাখার জন্য তার চালিত চালিত চালন ব্যবস্থাটি ব্যবহার করে একটি ধারাবাহিক কসরত চালানো হবে।অবতরণের দিন, ল্যান্ডার (বিক্রম) অরবিটার থেকে পৃথক হবে এবং তারপরে রুক্ষ ব্রেকিং এবং সূক্ষ্ম ব্রেকিং নিয়ে গঠিত জটিল কৌশলগুলি পরিচালনা করবে। ল্যান্ডিংয়ের পূর্বে অবতরণ সাইটের অঞ্চলের চিত্র নিরাপদ এবং ঝুঁকি মুক্ত অঞ্চল সন্ধানের জন্য করা হবে। বিক্রম, September ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ তারিখে প্রায় °০ ° দক্ষিণের অক্ষাংশে মঞ্জিনাস সি এবং সিম্পিলিয়াস এন - দুটি ক্রেটারের মধ্যে একটি উঁচু সমভূমিতে একটি নরম অবতরণ করার চেষ্টা করবে।
অবতরণের দিন, ল্যান্ডার (বিক্রম) অরবিটার থেকে পৃথক হবে এবং তারপরে রুক্ষ ব্রেকিং এবং সূক্ষ্ম ব্রেকিং নিয়ে গঠিত জটিল কৌশলগুলি পরিচালনা করবে। ল্যান্ডিংয়ের পূর্বে অবতরণ সাইটের অঞ্চলের চিত্র নিরাপদ এবং ঝুঁকি মুক্ত অঞ্চল সন্ধানের জন্য করা হবে। বিক্রম, September ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ তারিখে প্রায় °০ ° দক্ষিণের অক্ষাংশে মঞ্জিনাস সি এবং সিম্পিলিয়াস এন - দুটি ক্রেটারের মধ্যে একটি উঁচু সমভূমিতে একটি নরম অবতরণ করার চেষ্টা করবে।
চাঁদের প্রভাবের ক্ষেত্রগুলিতে প্রবেশের পরে, অন-বোর্ড থ্রাস্টাররা চন্দ্র ক্যাপচারের জন্য মহাকাশযানটি ধীর করবে। পরবর্তীকালে চন্দ্রায়ণ -২ এর কক্ষপথটি একটি কক্ষপথের কক্ষপথের মাধ্যমে 100x100 কিলোমিটার কক্ষপথে বৃত্তাকারে পরিণত হবে।
পরবর্তীকালে, রোভার (প্রজ্ঞা) চন্দ্র পৃষ্ঠে 1 চন্দ্র দিনের জন্য পরীক্ষাগুলি পরিচালনা করবে এবং যা 14 দিনের দিনের সমান। বিক্রমের মিশন লাইফটিও 1 চন্দ্র দিবস। অরবিটার এক বছরের জন্য এই মিশন চালিয়ে যাবে।
কিছু ছবির মুহূর্ত .........।।
কিছু ভিডিও .........
No comments:
Post a Comment
Please do not enter any Link in the comment box.