Malda Women's College
Environmental Studies
Internal Assessment 2020
Answer
বিভাগ - ক
১) নিম্নলিখিত কোনটি অ - নবীকরণযোগ্য সম্পদ ? - কয়লা
২) 'সাইলেন্ট উপত্যকা' যে রাজ্যের মধ্যে অবস্থিত - কেরালা
৩) শব্দ দূষণ পরিমাপের একক হল - ডেসিবেল
৪) বায়ুমণ্ডলে 'অক্সিজেনের মুল উৎস হল - সালোকসংশ্লেষ
৫) CFC ব্যবহৃত হয় এইভাবে - রেফ্রিজারেটর
বিভাগ - খ
১)
জলবাহিত রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার -
জলবাহিত রোগ (Water-borne Disease) যে কোন রোগ যা দূষিত জলর মাধ্যমে সংক্রমিত হয় বা ছড়িয়ে থাকে। মানুষ ও অন্যান্য জীবজন্তুর বিভিন্ন রোগের জন্য প্রধানত দায়ী রোগ সৃষ্টিকারী অণুজীব (ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস) এবং কয়েক রকমের পরজীবী। এ ধরনের সংক্রামক রোগ সৃষ্টিকারী অণুজীবেরা নানা রকমের কৌশলের সাহায্যে পরিবেশে বেঁচে থাকে বা বিস্তার লাভ করে। বিস্তার লাভের জন্য তিনটি প্রধান পন্থা হচ্ছে- বাতাস, জল এবং শারীরিক সংস্পর্শ। শ্বাসনালীর মাধ্যমে দেহে প্রবেশের জন্য বাতাসই মাধ্যম রূপে কাজ করে। অপর পক্ষে পরিপাক তন্ত্রের সংক্রমণের মাধ্যম হলো জল। অনেক সংক্রামক, উদাহরণস্বরূপ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করতে পাকস্থলীকে পথ হিসেবে ব্যবহার করে। শীঘ্রই অভিষ্ট অঙ্গে পৌঁছে পাকস্থলীকে পরিত্যাগ করে। আর একটি উদাহরণ হচ্ছে পলি ভাইরাস, যা খাদ্য ও পানীয়ের সাথে দেহ অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং আক্রমণ করে অন্যান্য অঙ্গ যেমন স্নায়ুতন্ত্রকে, এবং এর বৈশিষ্ট্যমূলক পক্ষাঘাতের সৃষ্টি করে।
জলবাহিত রোগের মধ্যে ডায়রিয়া, আমাশয়, পোলিও, হিপাটাইটিস এ ও ই, টাইপয়েড, প্যারাটাইপয়েড ইত্যাদি অন্যতম। এটি দুই ধরনের, তরল ডায়রিয়া এবং আমাশয়। কলেরা মারাত্মক ধরনের ডায়রিয়ার একটি আদিরূপ; এটি Vibrio cholerae নামক জীবাণুর কারণে ঘটে থাকে। আর এক রকমের জীবাণু (ব্যাসিলাসসমূহ) যেমন শিগেলা, আমাশয় সংঘটিত করে থাকে। এটি এক ধরনের ডায়রিয়া যাকে সচরাচর ব্যাসিলারি ডিসেন্ট্রি বলা হয়ে থাকে। সালমোনেলা নামক একদল জীবাণু অন্ত্রে জলর সাথে প্রবেশ করে সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ে ডায়রিয়া না ঘটাতেও পারে, কিন্তু তাদের আসল রোগ প্রকাশ পায় এক রকমের জ্বর দিয়ে, যাকে বলে আন্ত্রিক জ্বর বা টাইফয়েড।
প্রতিকার-
জলবাহিত রোগের বিস্তার দমনের জন্য পরিশ্রুত জলর সরবরাহ একটি পূর্বশর্ত। পরিশ্রুত জলর ব্যবস্থা করে এবং মলের নিরাপদ নিষ্কাশনের মাধ্যমে এসব রোগ সীমিত রাখা যায়। এছাড়া যন্ত্রচালিত গভীর নলকূপ গ্রামে খুবই সাধারণ, যেগুলি ধানক্ষেতে সেচ কার্যে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এগুলিও পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু জলবাহিত রোগের উপর যথেষ্ট প্রভাব শুধু পরিশ্রুত জল সরবরাহের ব্যবস্থা করলেই হবে না, এর সাথে সাথে মল নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও খুবই জরুরি। এ কারণে সরকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে যার উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রামাঞ্চলে কম খরচের স্যানিটারি পায়খানা তৈরি ও ব্যবহার। এই সাহসী উদ্যোগ ইতোমধ্যেই বহুলাংশে সাফল্য অর্জন করেছে।
২)
'চিপকো আন্দোলন' -
হিন্দিতে
চিপকো শব্দটির অর্থ আলিঙ্গন করা, আটকে থাকা। আর
গাছকে আলিঙ্গন করার মধ্য দিয়ে এই আন্দোলনটি গড়ে উঠেছিলো বলে এর নাম চিপকো আন্দোলন। আজ
থেকে ৪৭ বছর আগে ১৯৭৩ সালে স্বাধীন ভারতের উত্তরাখণ্ডে এই আন্দোলনটি শুরু হয়। কারখানা
স্থাপনের জন্য তৎকালীন আমলারা ১০০ গাছ কাটতে উদ্যোগী হন, যার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় গ্রামের দুই যুবক সুন্দরলাল বহুগুনা ও চন্ডীপ্রসাদ ভট্ট। গাছকে
জড়িয়ে ধরে তারা এর বিরোধিতা করেছিলেন। তাদের
লক্ষ্য ছিল একটাই- যেভাবে হোক গাছ ও বন নিধন
বন্ধ করে পরিবেশ রক্ষা করা।
পটভূমিঃ-
এ
আন্দোলনের ভিত্তি রচিত হয় আরো দুই শতাব্দী আগেই। তখন
ছিলো ১৭৩০ সাল। রাজস্থানের
প্রত্যন্ত অঞ্চল খেজারিলি গ্রামে একটি রাজপ্রাসাদ গড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তৎকালীন মেওয়ারের রাজা। রাজার
নাম ছিলো অভয় সিং। রাজার
নেতৃত্বেই শুরু হয় গাছ কাটা কর্মসূচী। আর
এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান তিন সন্তানের মা অমৃতা দেবী। পরবর্তীতে
তার সাথে যোগ দেয় গ্রামের বিষ্ণই সম্প্রদায়ের লোকেরাও।তাদের
উদ্দেশ্য একটাই- যে করেই হোক গ্রামের খেজরি গাছগুলোকে বাঁচাতে হবে। আর
সেজন্য গাছের সাথে নিজেদের আটকে রেখে শুরু হয় এ আন্দোলনের প্রথম
ধাপ। এভাবেই
গাছকে জড়িয়ে ধরে রাখা অবস্থাতেই রাজার সৈন্যদের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছিলো তাদের।
এরপর ১৯৬৩
সালে চীন-ভারত
সীমান্ত সংঘাতের সমাপ্তির সাথে সাথে উত্তর প্রদেশের ভারতের রাজ্যটি বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে হিমালয়ের অঞ্চলে উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল। দেশি
বিদেশি অনেক কম্পানি হিমালয়ের এই মনরম পরিবেশকে কম্পানির জন্যে ভালো একটা স্থান হিসাবে চিনহিত করতে থাকে যদিও গ্রামীণ গ্রামবাসীদের কাছে বাসযোগ্যতার জন্য বনভূমিতে ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল- খাদ্য ও জ্বালানি জন্য,
জল পরিশোধন এবং মাটি স্থিরতা হিসাবে। কিন্তু
কম্পানির জন্যে অনেক যায়গার প্রয়জনের জন্যে প্রচুর পরিমানে গাছ কাটা হয় ও পরিবেশের উপর
বেশি পরিমানে দুর্যোগ দেখা দিতে শুরু করে যেমন- খরা, বন্যা ইতাদ্যি। এই
পরিবেশকে রক্ষার জন্যে চিপকো আন্দোলন শুরু হয়।
চিপকো আন্দোলন
: সুন্দরলাল
বহুগুণা, একটি সুপরিচিত পরিবেশবাদী যিনি চিপকো আন্দোলন শুরু করেন, তিনি ৯ জানুয়ারি, ১৯২৭
সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি
ছিলেন চিপকো আন্দোলন নেতা এবং মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা ও সত্যগ্রাহার দর্শনের
অনুসারী। তিনি
এবং তার স্ত্রী দুজনে মিলে প্রথম এই পদক্ষেপ নেন ও এই আন্দোলন
সারা দেশ জুরে ছরিয়ে দিতে মানুষের কাছে কাছে যান। এবং
বনভুমি রক্ষার জন্যে একটি সংগঠন গরে তুলেন।
সাধারন
মানুষের ভুমিকা: মহিলা ও পুরুষ সব
নির্বিশেষে উভয় এই আন্দোলনে যোগ দেয়। অনেক
মানুষ জানেন না যে গত কয়েক শতাব্দী ধরে ভারতে অনেক সম্প্রদায় প্রকৃতি রক্ষা করতে সাহায্য করেছে। রাজস্থানের
এইরকম একটি উদাহরণ গ্রামে উত্থিত গাছ সংরক্ষণ করার চেষ্টা করে মারা গেলে, অমৃতা দেবী, সেই মেয়ে সম্পর্কে একটি খুব বিখ্যাত গল্প আছে। গ্রামটি
স্থানীয় মহারাজার শাসনের অধীনে ছিল, যিনি তার পরিবারের জন্য একটি প্রাসাদ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। তিনি
তাঁর বান্দাদের নিকটবর্তী গ্রাম থেকে কাঠ আনতে আদেশ দেন। গাছ
কাটাতে গ্রামে এসে পৌঁছলে অমৃতা ও গ্রামের অন্যান্য
মহিলারা গাছের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাদেরকে জড়িয়ে ধরে। এবং
পরে যোধপুরের মহারাজার আদেশে কাঠুরিয়াদের সঙ্গে বিবাদে অমৃতা দেবী মারা যান। এই
ঘটনাটি যদিওবা স্বাধিনাতার অনেক আগের কথা তবুও এই ঘটনাটি অনেক গ্রামীণ নারীকে অনুপ্রাণিত করেছিল, যারা ১৯৭০ সালের মতোই ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এই ধরনের আন্দোলন শুরু করেছিল। তাদের
মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলি হল- সুবেদার দেবী, বাচ্চিনী দেবী, চণ্ডী প্রসাদ ভট্টা, গোবিন্দ সিং রাওয়াত, ধুম সিং নেজি, শমসের সিং বিশ্বাস এবং ঘানসিম রাতারু, চিপকো কবি আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
চিপকো
আন্দোলনের ফলাফলঃ-
অন্যরাও এই আন্দোলনে জড়িত হয়েছেন এবং সঠিক নির্দেশ দিয়েছেন। শ্রীযুক্ত
সুন্দরলাল বহুগুণা, একজন গান্ধীয়ার সক্রিয় কর্মী এবং দার্শনিক, বনভুমি রক্ষার নেতারা ভারতবর্ষের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে আপিল করা হয়েছিল, এর ফলে হরিজন পত্রিকায় গাছ কাটা নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছিল। এবং
২৬ মার্চ প্রতি বছর চিপকো আন্দোলন দিবস হিসাবে পালিত হবে বলে মানা হয়। ১৯৮০
সালে উত্তরপ্রদেশের বনের ১৫ বছর ধরে গাছ কাটার জন্য নিষিদ্ধ ছিল। এরপর
হিমালয় রাজ্য, কর্ণাটক, রাজস্থান, বিহার, পশ্চিমঘাট ও বিহারে নিষিদ্ধ
করা হয়। বর্তমানে
পরিবেশকে রক্ষার জন্যে "গাছ লাগাও প্রান বাচাও","একটি গাছ একটি প্রান" ইত্যাদি স্লগানে বিশ্বে গাছের প্রয়োজনের কথা প্রচার করা হয়। পরিশেষে
একটা কথা বলতেই হয় যে "গাছ আমাদের মাতা পিতা তাই গাছ লাগাও প্রান বাচাও"।
---------------------------
'নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন' -
নর্মদা
ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নদী এবং এটি ভারতের দীর্ঘতম পশ্চিমবাহিনী নদী l
উৎস থেকে প্রায় ১৪৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে নর্মদা আরবসাগরে এসে মিশেছে l নর্মদা উপত্যকা বহু মানুষের বাস এবং জীবন ও জীবিকার জন্য
তারা সম্পূর্ণ ভাবে নদীর উপর নির্ভরশীল l গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশ সরকার
যৌথ উদ্যোগে এবং বিশ্বব্যাঙ্ক-এর সহায়তায় নর্মদা ভ্যালি ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান গ্রহণ করে l এই প্রকল্পের দ্বারা পরবর্তী ২৫ বছরে নদীর মধ্যে ৩০টি বৃহৎ, ১৩৫টি ছোটো বাঁধ এবং প্রায় ৩০০০টি বাঁধ স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয় l ১৯৬১সালে প্রধানমন্ত্রী নেহেরু এর শিলান্যাস করেন l আনুমানিক ৪০,০০০কোটি টাকা খরচের মাত্রা স্থির হয় l সর্দার সরোবর বাঁধ এর উপর বহু মানুষ নির্ভর করে, কিন্তু বাকি দুটি বৃহৎ বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় যার ফলে গৃহহীন ও কর্মহীন হয়ে
যান বহু নদী নির্ভর মানুষ l
সরকার
পক্ষের বক্তব্য ছিল যে বাঁধ নির্মাণ হলে বহু অংশে মানুষ বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে।অপরদিকে,
জল কৃষির প্রয়োজনীয় সেচের কাজ ও প্রায় ১৪৫০
মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ তৈরিতে ব্যবহার হবে l তারা আরও বলেন যে, বাঁধ নির্মাণ হলে আনুমানিক ৪ লক্ষ পরিবারকে
পানীয় জল সরবরাহ করা সম্ভব হবে l
অপর
দিকে আন্দোলনকারীরা দাবি করে যে, বাঁধ নির্মাণ হলে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে l নর্মদা অন্য তট প্লাবিত হতে পারে, কয়েক লক্ষ বর্গকিলোমিটার জমি জলের নিচে চলে যাবে এবং বহু আদিবাসী পরিবার প্রায় কয়েক কোটি মানুষ যারা নদীর ওপর নির্ভরশীল তারা বাস্তুহীন ও কর্মহীন হয়ে
পড়বে l বাস্তবে তাই হয়, প্রায় ১০ লক্ষ পরিবার গৃহহীন হয় l ১৯২ টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয় l
বাঁধ
নির্মাণের ফলে প্রাণ হারায় বহু পশুপাখি এবং ধ্বংস হয় অরণ্য l আরেকটি দাবি ওঠে যেহেতু, নর্মদা হিন্দুদের মতে একটি পবিত্র নদী তাই এই নদীর উপর বাঁধ তৈরি করলে তা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত আনবে l
প্রাথমিক
ভাবে আন্দোলন সাধারণ আদিবাসী মানুষদের মধ্যে গড়ে ওঠে, সরকার তরফে বোঝানোর চেষ্টা হয় ১৯৮৫ সালে আন্দোলনে আসেন বাবা আমতে। অল্প
কিছুদিনের মধ্যেই এই আন্দোলন জাতীয় আন্দোলনের রূপ ধারণ করে l নিজের পিএইচডি ছেড়ে আন্দোলনে যুক্ত হন পরিবেশ ও মানবাধিকারকর্মী মেধা পাটেকার
l পুনরায় ১৯৮৭ নাগাদ নির্মান কাজ শুরুর চেষ্টা করা হয়, কিন্তু তা সফল হয়নি l
সরকার
বারবার আক্রমণ করে আন্দোলনকারীদের, গুজরাট মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের প্রায়
১০,০০০ গ্রামবাসী মেধা পাটেকারের নেতৃত্বে অহিংস মিছিল করে l একে একে বেশ কয়েকটি সংগঠন যোগ দেয় আন্দোলনে, আন্দোলন তুমুল পর্যায় পৌঁছায় এই ভাবেই ১৯৮৯ সালে শুরু হয় নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন l ৩৬ দিন ব্যাপী সমগ্র উপত্যকা জুড়ে পদযাত্রা করেন আন্দোলনকারীরা l
পুলিশ
একাধিকবার গ্রেফতার করে মেধা পাটেকারকে এবং আক্রমণ চালায় l তিনি অনশন করেন একাধিকবার – ১৯৯১ সালে, ১৯৯৩ সালে এবং নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের অফিস ও কর্মীদের উপর
আক্রমণের প্রতিবাদের তিনি ১৯৯৪ সালে ২১ দিন ব্যাপী অনশন করেন l
অন্য
দিকে ১৯৯৪ সালে ‘নর্মদা : এ ভ্যালি রাইজেস’
নাম একটি চলচিত্র নির্মাণ করেন আলী কাজমী, যে ছবিতে ১৯৯১ এর পাঁচ সপ্তাহ ব্যাপী সত্যাগ্রহ আন্দোলন তুলে ধরা হয়l ১৯৯৬ সালে আনন্দ পাটয়ারধান ‘এ নর্মদা ডায়রি’ নামে আর একটি তথ্যচিত্র বানান, বহু বিখ্যাত মানুষ যুক্ত হতে শুরু করেন এই আন্দোলনে একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থার সমর্থন আসতে থাকে l
অন্য
দিকে ক্রমাগত আন্দোলনকারীরা মামলা করতে শুরু করেন, সুপ্রিম কোর্ট-এর হস্তক্ষেপে দফায় দফায় কাজ বন্ধ রাখা হয় l ১৯৯৩ সালে বিশ্ব ব্যাঙ্ক এই প্রকল্প থেকে সরে আসে কিন্তু ভারত সরকার চালিয়ে যায় কেস l ১৯৯৬ কাজ শুরু হয় আবার স্থগিত হয়ে যায় ১৯৯৯ পর্যন্ত l আন্দোলনকারীদের কিছু দাবি যেমন সঠিক ভাবে ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে পরিবেশ
পর্যবেক্ষণ অর্থাৎ বাঁধ নির্মাণ হলে কী কী ক্ষতি হতে পারে সে বিষয়ে পর্যালোচনা হবে, বাঁধের উচ্চতা,পুনর্বাসন দাবি মেনে নিয়ে আদালতের নির্দেশে ২০০০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০০৬-২০০৭ এ সম্পূর্ণ হয়।
----------------------------------
করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
----
No comments:
Post a Comment
Please do not enter any Link in the comment box.