গান্ধিজির
মতে শিক্ষার লক্ষ্য
গান্ধিজির মতে শিক্ষার চূড়ান্ত লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীর
অন্তর্নিহিত নৈতিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক
শক্তির বিকাশ ঘটানো। গান্ধিজি শিক্ষার লক্ষ্য হিসেবে যেসব
বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন, সেগুলি হল一
শিক্ষার্থীকে স্বনির্ভর এবং সাবলম্বী করে তোলে।
শিক্ষার মধ্য দিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা।
শিক্ষা-ব্যবস্থাকে স্বনির্ভর করে তোলে।
শিক্ষার্থীর মধ্যে কায়িকশ্রমের প্রতি মর্যাদা জাগিয়ে তোলে।
দেশের জন্য উৎপাদনশীল নাগরিক গড়ে তোলে।
শিক্ষার্থীর মধ্যে আত্মবিশ্বাস, সংযম প্রভৃতি গুণের বিকাশ ঘটিয়ে সুচরিত্র গঠনে সহায়তা করা।
ঈশ্বরকে উপলব্ধি করার পন্থা হিসেবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে
আত্মউপলদ্ধি জাগানো।
ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় ঘটানো।
শ্রেণিহীন, শোষণহীন সমাজ গড়ে তোলে।
ওপরের বিষয়গুলির পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, গান্ধিজির মতে শিক্ষার লক্ষ্য হল আত্মসংযমের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীর
চরিত্র গঠন করা, শিক্ষার্থীকে স্বনির্ভর করা এবং
আধ্যাত্মিক চেতনাসম্পন্ন, মানুষ সৃষ্টি করা।
নঈ তালিম শিক্ষাব্যবস্থার স্তর
গান্ধিজি তাঁর শিক্ষা-পরিকল্পনা রচনা করেছিলেন তৎকালীন
সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে। গান্ধিজির এই শিক্ষা-পরিকল্পনা
বুনিয়াদি শিক্ষা পরিকল্পনা নামে পরিচিত। এই শিক্ষার নাম পরবর্তীকালে নঈ তালিম
রাখা হয়। নঈ তালিম শিক্ষার চারটি স্তর হল一
প্রাক্-বুনিয়াদি: এই স্তরে 7 বছরের থেকে কম বয়সি শিশুরা শিক্ষালাভ করবে।
বুনিয়াদি: এই স্তরে 7 থেকে 14 বছর বয়সি ছেলেমেয়েরা শিক্ষালাভ করবে।
উত্তর-বুনিয়াদি এই স্তরে 14 বছরের চেয়ে
বেশি বয়সি ছেলেমেয়েরা শিক্ষালাভ করবে।
প্রাপ্তবয়স্ক: এই স্তরে প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষার্থীরা
শিক্ষালাভ করবে।
No comments:
Post a Comment
Please do not enter any Link in the comment box.